বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে ঝুট ব্যবসা দখলচেষ্টার অভিযোগ 

  • প্রতিনিধি, সাভার   
  • ১৫ আগস্ট, ২০২৪ ১৭:১৯

ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাজমুল হাসান অভি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে দলের ভাবমূর্তি নষ্টের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনা স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েছেন ওই নেতা।

আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া তানজিলা টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানা এলাকায় গিয়ে বুধবার এসব তথ্য জানা যায়।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মোহনের ছবি সংবলিত একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘আসাদুজ্জামান মোহন ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি আর আওয়ামী লীগের দালালের সহযোগিতায় বাড়ইপাড়া টেক্সটাইলে ওয়েস্টেজ নেওয়ার জন্য আসে। আসার পরে এলাকাবাসী তাকে তিন ঘণ্টা আটকে রাখে। পরে ক্ষমা চেয়ে তিনি এলাকা থেকে বিদায় হন। এ রকম নেতা দলের জন্য ক্ষতিকর।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটির ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গেল নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর একটি পক্ষ ঝুট ব্যবসা দখলে নেয়। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যান।

স্থানীয়রা জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারখানা দখলে চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন। গত ১৩ আগস্ট বিকেলে কারখানার ঝুট অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। এ খবর ছড়িয়ে পরলে কারখানার ভিতরে ওই বিএনপি নেতাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মোহন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোর্শেদ বলেন, ‘গত মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন ও তার সহযোগীরা। পরে কারখানা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঝুট বের করার প্রস্তুতি নেন তিনি। এতে অপর এক দল হামলার প্রস্তুতি নেয়। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে স্থানীয়রা এক হয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেন।

‘ওই সময় আসাদুজ্জামান মোহন ভেতরে আটকা পড়েন। ঘটনার তিন ঘণ্টা পর সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে এলাকা থেকে চলে যান তিনি।’

এ বিষয়ে তানজিলা টেক্সটাইল লিমিটেডের এইচআর ও অ্যাডমিন আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার বলেন, ‘গতকাল সে (মোহন) আসছিল কারখানায়। পরে ম্যানেজার রুমে ছিল। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা আমি জানি না। আর কখন বের হয়েছে এন্ট্রি খাতা দেখে বলতে হবে।’

দখল চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন বলেন, ‘আমি কারখানার এক কর্মকর্তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলাম। কোনো ধরনের ঝুট ব্যবসা দখল চেষ্টা আমি করি নাই। আর এ ধরনের ঘটনাও ঘটে নাই।

‘আমি তো সাক্ষাৎ শেষে সেখান থেকে চলে এসেছি। পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।’

ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাজমুল হাসান অভি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে দলের ভাবমূর্তি নষ্টের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর